এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর জীবনী ! A.P.J. Abdul Kalam Biography in Bengali
এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর জীবনী – A.P.J. Abdul Kalam Biography in Bengali :
- এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর পুরো নাম হলো- আভুল পকির জয়নুলাবেদীন আব্দুল কালাম ।
- জন্ম :: ১৯৩১ সালের ১৫ ই অক্টোবর
- জন্মস্থান :: ভারতবর্ষের তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে
- পিতা :: জয়নুল আবেদিন
- মাতা :: অশিয়াম্মা
- ধর্ম :: ইসলাম
- জীবিকা :: লেখক / বিমান প্রযুক্তিবিদ
- কাজের সময় কাল :: ২০০২ – ২০০৭
- মৃত্যু :: ২৭ জুলাই ২০১৫ সালের ২৭ জুলাই
- মৃত্যুর কারণ :: হৃদরোগ
শিক্ষাজীবন ::
- যদি মনের মধ্যে ইচ্ছা থাকে তাহলে আমরা সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছাতে পারবো ।
- দ্বিতীয় হল বিশ্বাস । নিজের কর্তব্যবোধের ওপর অবিচল আস্থা থাকতে হবে । ঈশ্বরের ওপর বিশ্বাস এবং নির্ভরতা রাখতে হবে।
- সর্বশেষ আশাবাদ জেগে ওঠে । আশাবাদ না থাকলে অরণ্যচারী মানুষ আজ মহাকাশ বিজয়ী হতে পারতনা ।
কর্মজীবন ::
তিনি ১৯৬০ সালে ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনে ( ডি আর ডি ও ) বিজ্ঞানী হিসেবে যোগ দেন । তার কেরিয়ার শুরু হয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছোট মাপের একটি হেলিকপ্টারের নকশা করার মধ্য দিয়ে । ভারতের মহাকাশ গবেষণার সংস্থা ইসরো – র সঙ্গে যুক্ত হন তিনি । তিনি দেশীয় প্রযুক্তিতে উন্নত সামরিক মিসাইল তৈরির প্রকল্পে ও ছিলেন ।মহাকাশযান ও স্যাটেলাইট বহনকারী পি এস এল ভি এবং এস এল ভি থ্রি রকেট তৈরিতে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ভারতের ‘ মিসাইল ম্যান ‘ বলা হয় তাঁকে । পরমাণু শক্তিধর দেশগুলির সঙ্গে একই সারিতে ভারতকে তুলে আনার জন্য তাঁর অবদান অনস্বীকার্য । তিনি পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা সংক্রান্ত ‘ পোখরান – টু ’ প্রকল্পের চিফ প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর ছিলেন ।
তিনি নিজেকে দেশের প্রথম সারির বিজ্ঞানী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন । রাজনীতির অঙ্গনে প্রবেশ করা । রাষ্ট্রপতির পদে দাঁড়ানো এবং সেই পদে নির্বাচিত হওয়া । রাষ্ট্রপতি হিসাবে বিভিন্ন বিতর্কমূলক কাজে জড়িয়ে পড়া । নিজেকে রাজনৈতিক দলাদলির উর্দ্ধে রাখা , এমন অনেক আদর্শ স্থানীয় কাজ করে আজ কালাম আমাদের কাছে এক মহান মানুষে পরিণত হয়েছেন । আজও মাঝে মাঝে তিনি বিভিন্ন জায়গাতে ভাষণ দিতে যান । যেখানেই যান , সেখানেই তাঁর শিক্ষকসুলভ দার্শনিকতা প্রস্ফুটিত হয়ে ওঠে । সব অর্থে কালামকে আমরা এক ভারতীয় ঋষির সঙ্গে তুলনা করতে পারি । জীবনে তিনি দ্বার পরিগ্রহ করেননি । আজীবন ব্রহ্মচারী তাপসের মতো জীবন কাটিয়েছেন । তাই তাঁর প্রতি আমরা আমাদের অস্তরের সশ্রদ্ধ প্রণাম নিবেদন করি আমরা অবশ্যই এ.পি.জে.আবদুল কালামকে ভারতীয় সংস্কৃতির ইতিহাসে এক উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব হিসাবে চিহ্নিত করব ।
আত্মজীবনী :: ১৯৯০ সালে প্রকাশিত হয় এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর আত্মজীবনী— “ উইঙ্গস অফ ফায়ার ” ।
পুরস্কার:
- তিনি 1981 সালে বিজ্ঞানের সাফল্য অর্জনের জন্য পদ্মভূষণ এবং 1990 সালে পদ্মবিভূষণে সম্মানিত হন।
- তিনি 1997 সালে প্রতিরক্ষা গবেষণার ক্ষেত্রে তাঁর অসাধারণ অবদানের জন্য দেশের সর্বোচ্চ সম্মান ভারতরত্ন লাভ করেন।
- জাতীয় সংহতির জন্য 1998 সালে ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কার পান
- আবদুল কালামকে 1998 সালে রয়্যাল সোসাইটি, যুক্তরাজ্য কর্তৃক কিং চার্লস দ্বিতীয় পদক প্রদান করা হয়।
- আব্দুল কালাম জি বিশ্বের 40 টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করেছেন।
- 2011 সালে, আবদুল কালাম IEEE সম্মানিত সদস্যপদে IEEE দ্বারা সম্মানিত করা হয়েছিল।
রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষে, আব্দুল কালাম IIM শিলং, IIM আহমেদাবাদ, IIM ইন্দোর, IIS ব্যাঙ্গালোর এবং অন্যান্য কলেজে অতিথি অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। 2012 সালে, ভারতীয় যুবকদের জন্য "আমি কি দিতে পারি আন্দোলন" একটি প্রোগ্রাম শুরু হয়েছিল, যার লক্ষ্য ভারতে দুর্নীতিকে পরাস্ত করা।
ডাঃ এ.পি.জে. আবদুল কালামের চিন্তাধারা :
- মানুষের অসুবিধা প্রয়োজন, কারণ সাফল্য উপভোগ করা প্রয়োজন।
- আমার জন্য নেতিবাচক অভিজ্ঞতা বলে কিছু নেই।
- জীবন এবং সময় পৃথিবীর দুই শ্রেষ্ঠ শিক্ষক। জীবন আমাদের সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে শেখায় যেখানে সময় আমাদের জীবনের উপযোগিতা বলে।
- আমি সবসময় মেনে নিতে প্রস্তুত ছিলাম যে আমি কিছু জিনিস পরিবর্তন করতে পারি না।
- প্রশ্ন করা সমস্ত ছাত্রদের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে একটি। তাই শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন করুন।
- আমরা যখন দৈনন্দিন সমস্যা দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকি, তখন আমরা আমাদের মধ্যে থাকা ভাল জিনিসগুলি ভুলে যাই।
- আমাদের চেষ্টা কখনই বন্ধ করা উচিত নয় এবং সমস্যাগুলির সমাধান করার চেষ্টা করা উচিত।
No comments:
Post a Comment